কোনো শিল্পকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যিক উদ্যোগ গ্রহণের পূর্বে, সেই শিল্পটি সম্পর্কে যথাযথ গবেষণা করা অতি জরুরী। ইকমার্স শিল্পের ক্ষেত্রেও বিষয়টি ব্যতিক্রম নয়।
এতে শিল্পটি আপনার জন্য কতটুকু উপযুক্ত হতে পারে, তা সম্পর্কে ধারণা পেতে সহজ হয়ে যাবে। উদ্যোগ গ্রহণের পূর্বে যে বিষয়গুলো আপনার জেনে নেয়া উচিত তা হলঃ
- শিল্পটির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কেমন?
- শিল্পটিতে কি ধরণের বাণিজ্যিক সুযোগ রয়েছে?
- ইতিমধ্যে শিল্পটিতে কে বা কারা সফলভাবে বাণিজ্য পরিচালনা করছেন?
- শিল্পটি আপনার জন্য কতটা উপযুক্ত?
- কার্যক্রম শুরু করতে ন্যূনতম কি কি প্রয়োজন হতে পারে?
- প্রাথমিকভাবে কেমন বিনিয়োগের প্রয়োজন?
- কি পরিমাণ লভ্যাংশ উপার্জন করা সম্ভব?
ইত্যাদি।
ইন্টারনেটের সহায়তায় ও গবেষণার মাধ্যমে উল্লেখিত এই তথ্যগুলো আপনি চাইলেই জানতে পারেন।
বিষয়টিকে আরও সহজ করতে এই নির্দেশিকায়, বিশ্বের নানা গবেষণা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ইকমার্স শিল্পের চিত্তাকর্ষক কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হল। যার দ্বারা আপনি উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর অনুমান করতে সক্ষম হবেন।
নির্দেশিকাটিতে বিশ্বব্যাপী গ্রাহক ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে, ইকমার্স শিল্পের পরিসংখ্যানগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
কারণ ইকমার্সের মাধ্যমে সমগ্র দেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশগুলোকেই সচরাচর অনুসরণ করে থাকে।
ফলে যা আজ উন্নত দেশগুলোতে ঘটছে, তা আগামীতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও ঘটে।
উদাহরণ হিসেবে আমরা উবারকে দেখতে পাই,
এটির কার্যক্রম প্রথমে উন্নত দেশগুলোতেই শুরু হয়েছিল যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও অনুসরণ শুরু হয়।
আরও যেমন রয়েছে, ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন (মোবাইল ব্যাংকিং), এমন আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে।
তাই বিশ্বব্যাপী ইকমার্স শিল্পের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা থাকলে, নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে আপনার বাণিজ্যটিকে উপযুক্ত পথনির্দেশনা প্রদান সহজ হয়ে উঠবে।
ইকমার্স পরিসংখ্যান
১। অনুমাণ করা হচ্ছে ২০২১ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী ২.১৪ বিলিয়ন ডিজিটাল গ্রাহক সৃষ্টি হবে।
যা অনেক বড় অংকের সম্ভাব্য গ্রাহকের পরিমাণ।
বিশ্বে সর্বমোট জনসংখ্যার পরিমাণ আনুমানিক ৭.৮ বিলিয়ন, যার মধ্যে ২৫ শতাংশই অনলাইন শপিং ক্রিয়াকলাপের সাথে সম্পৃক্ত।
এখনো নানা দেশের বৃহৎ পরিমাণ জনসংখ্যার কাছে ইন্টারনেট উপলব্ধ নেই, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। যতই ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রসার ঘটছে ততোই ডিজিটাল ভোক্তাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যেহেতু প্রতি বছর বছর অনলাইনে গ্রাহকদের সংখ্যা বাড়ছে, তাই উদ্যোক্তাদের জন্য ইকমার্স প্রক্রিয়াটি হতে পারে একটি উপযুক্ত বাণিজ্যিক পন্থা।
২। ২০২১ সালে ইকমার্স প্রক্রিয়ায় খুচরো বিক্রয়ের পরিমাণ ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক রকম বলা চলে, ইকমার্স ধীরে ধীরে সাধারণ বাণিজ্যিক প্রক্রিয়াকে (অফলাইন) পেছনে ফেলে দিচ্ছে।
উপরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ইকমার্স প্রক্রিয়ায় খুচরো বিক্রয়ের ঊর্ধ্বগতির হার, যা থেকে বোঝাই যাচ্ছে বাণিজ্যিক শিল্পের জন্য ইকমার্স কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
যদিও কভিড-১৯ এর ফলে ২০২০ সালে নিম্নমুখী ছিল। তবে পরবর্তী বছর থেকে পূর্বের ন্যায় পুনোরায় বিক্রয়ের হার বৃদ্ধি হবে বলে পরিসংখ্যান সংস্থা স্টেটিস্টা তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে।
৩। দেশের প্রায় ৯০% শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের এখনো ইকমার্স অনলাইন স্টোর নেই
সমগ্র দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির প্রায় কয়েক কোটি প্রতিষ্ঠান বা শপ হবে, কিন্তু অনলাইনে কয়টি প্রতিষ্ঠানের ইকমার্স ওয়েবসাইট বা অ্যাপ রয়েছে?
অনলাইনে উপলব্ধ ইকমার্স ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের পরিমাণ এবং বাজারের বিক্রয়কেন্দ্রগুলোর পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়, দেশের এখনো প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব ইকমার্স স্টোর নেই।
তাই উদ্যোক্তা ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ হতে পারে অনলাইনে নিজেদের অবস্থানটি প্রতিষ্ঠা করার।
৪। ভোক্তাদের অনলাইনে ক্রয়ের অন্যতম কারণ সময় ও পরিশ্রম সাশ্রয়
অনলাইনে শপিং-এর কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ২৪ ঘণ্টা কেনাকাটা করার সুবিধা, পণ্যের মূল্য ও সুবিধাগুলো সহজেই তুলনা করতে পারা, সহজেই একাধিক স্টোর ভিসিট করা।
যা শারীরিকভাবে বাজারে ভিন্ন ভিন্ন স্টোরে যাওয়ার পরিশ্রম এবং সময় অপচয় রোধে ভোক্তাদের সহায়তা করে।
এক কথায়, অনলাইন শপিং সময় সাশ্রয়ী, সহজ ও একদম হাতের মুঠোয় প্রায় সকল পণ্য-সেবা উপলব্ধ।
৫। ৮১% ভোক্তা ক্রয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে পরিবার ও বন্ধুদের সুপারিশকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
পরিবার ও বন্ধুরা সবসময় আমাদের ভালোটাই প্রত্যাশা করে, তাই পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাদের সুপারিশ সর্বাপেক্ষাই প্রাধান্য পায়। যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রচারণা করতে থাকে।
তাই অনলাইন ষ্টোরের ক্ষেত্রে সামাজিক প্রমাণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
সৌভাগ্যক্রমে প্রযুক্তির সহায়তায় সহজেই সোসিয়াল প্রুফ বা সামাজিক প্রমাণ আপনার স্টোরে যুক্ত করার মাধ্যমে ভোক্তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন।
আমাদের অ্যাডভান্স ইকমার্স প্রশিক্ষণে এ বিষয়গুলো বিস্তারিত দেখানো হয়েছে।
অনলাইন স্টোরের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিতে সর্বাধিক সুবিধা পাওয়া যায়। কারণ ডিজিটাল ভোক্তা তার পরিবার/বন্ধুদের সুপারিশ করতে সহজেই পণ্যের লিঙ্কটি শেয়ার করতে পারে।
৬। ধারণা করা হচ্ছে ২০২১ সাল নাগাদ মোবাইল কমার্স-এ ডিজিটাল বিক্রয়ের পরিমাণ বেঁড়ে দাঁড়াবে ৭২.৯% শতাংশে
প্রতিটি ভোক্তার কাছে কম্পিউটার না থাকলেও মোবাইল সকলের কাছেই রয়েছে। যার ফলে মোবাইলে শপিং এর হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিম্নের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে প্রতিবছর মোবাইল কমার্সের ঊর্ধ্বগতির হার।
ওল্ফগ্যাং ডিজিটালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৫% শতাংশ ক্রয় মোবাইল ডিভাইসের ভোক্তা দ্বারা হয়ে থাকে।
এজন্যই ইকমার্স ওয়েবসাইটটি হওয়া উচিত সম্পূর্ণ মোবাইল স্ক্রিন বান্ধব। যেন ডেক্সটপ বা মোবাইল যেকোনো ডিভাইস থেকে ভোক্তারা সহজে পণ্য-সেবা গ্রহণ করতে পারে।
ওয়েবসাইটের পাশাপাশি একটি পৃথক ডেডিকেটেড মোবাইল শপিং অ্যাপ ব্যবসার দ্রুত প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
মোবাইলে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট ভিসিট করা থেকে নেটিভ অ্যাপের ব্যবহার করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কারণ নেটিভ অ্যাপগুলো বিশেষ করে মোবাইলের জন্য অপটিমাইজ থাকে। যার ফলে ভোক্তারা মোবাইল ডিভাইসে বিশেষ শপিং অনুভূতি পায়।
নিম্নের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে প্রতিবছর মোবাইল শপিং অ্যাপ ব্যবহারের বৃদ্ধির হার।
ইকমার্স বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় ৫৩% শতাংশ ডিজিটাল ভোক্তা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শপিং অ্যাপে ক্রয় করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভোক্তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়।
তাহলে কোনটি সর্বাপেক্ষা বেশী জরুরী? ইকমার্স ওয়েবাইট, নাকি মোবাইল অ্যাপ?
প্রকৃতপক্ষে দুটিই সমানভাবে জরুরী। কারণ বাণিজ্য পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানকে অভ্যন্তরীণ নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়।
যেমন পণ্য লিস্টিং, অর্ডার ব্যবস্থাপনা, ভোক্তা/কর্মকর্তা ব্যবস্থাপনা, গ্রাহকসেবাসহ এ যাবতীয় অভ্যন্তরীণ কাজগুলো মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে করতে প্রচুর সময়ের অপচয় হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপ মূলত ওয়েবসাইটের লাইট/হাল্কা সংস্করণ, যার মাধ্যমে ভোক্তারা সহজেই তাদের অর্ডার/পেমেন্ট/আকাউন্ট ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হবে।
আর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা করবে।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে এক কথায় বলা চলে,
মোবাইলের এই বিপুল পরিমাণ ডিজিটাল ভোক্তাদেরকে ক্রয়ের সহজ ও আনন্দদায়ক পন্থা প্রদানে প্রতিটি উদ্যোগের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নিজস্ব মোবাইল শপিং অ্যাপ থাকাও বর্তমানে অতি জরুরী।
ইকমার্স মোবাইল অ্যাপ
৭। AOV-তে ডেস্কটপ অন্যান্য ডিভাইসের শীর্ষে রয়েছে
কভিড-১৯ লকডাউন চলাকালীন সময়ে কিবোকমার্সের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, উচ্চ মূল্যের দ্রব্য অর্ডারের ক্ষেত্রে ডেস্কটপ ডিভাইসই শীর্ষে রয়েছে।
ডেক্সটপে ভোক্তাদের গড় অর্ডার পরিমাণ ১২২ ডলার, মোবাইলে ৮৪ ডলার ও টেবলেটে ৮৯ ডলার।
যেমনঃ একটি ৳৫০০ টাকা মূল্যের পণ্য অর্ডারে ভোক্তা সাধারণত তেমন চিন্তা করে না। কিন্তু ৳১০,০০০ টাকা মূল্যের একটি পণ্য অর্ডারে ভোক্তা যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে চেকআউট করে থাকেন, যেন অর্ডার করার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল থেকে বিরত থাকা যায়। তাই উচ্চমূল্যের পণ্যের ক্ষেত্রে ডেক্সটপের ব্যবহার এখনো শীর্ষে।
এছাড়াও গ্রাহক রূপান্তরের হার মোবাইল ডিভাইসের তুলোনায় ডেক্সটপ ডিভাইসে অধিক। নিম্নের চিত্রে ২০১৯-২০২০ সালে নানা ডিভাইসে গ্রাহক রূপান্তর হার দেখা যাচ্ছে।
৭। AOV-তে ডেস্কটপ অন্যান্য ডিভাইসের শীর্ষে রয়েছে
ডিজিটাল বিপণন সংস্থা ওয়েবএফএক্স এর সূত্রমতে, প্রায় ৮৯% শতাংশ ভোক্তা মন্দ UI/UX এর কারণে অন্যান্য সহজে ব্যবহারযোগ্য প্রতিযোগীদের স্টোরে চলে যায়।
এছাড়াও বলা হয় ওয়েবসাইটের পেশাদার নকশা দ্বারা তাৎক্ষনিকভাবে ভোক্তাদের ৭৫% বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব।
UI = ওয়েবসাইট/অ্যাপের নকশা (ডিজাইন)
UX = ওয়েবসাইট/অ্যাপটির ব্যবহার কতটা ব্যবহারকারী বান্ধব?
UX এর একটি উদাহরণ হিসেবে চেকআউট পৃষ্ঠাটিকে ধরা যেতে পারে।
ইকমার্স ষ্টোরের ক্ষেত্রে চেকআউট পৃষ্ঠাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্রয় ধাপ। যে ধাপে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোই থাকা উচিৎ।
চেকআউট পৃষ্ঠায় অতিরিক্ত ফর্ম ফিল্ডের ব্যবহারে ভোক্তা বিরক্ত হতে পারে এবং গ্রাহক রূপান্তর হার উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উদাহরণ হিসেবে GrowBig এর চেকআউট পৃষ্ঠাটি লক্ষ্য করুন।
শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্যের ফর্ম ফিল্ডগুলোই যুক্ত রয়েছে, যেন গ্রাহকারা অত্যন্ত সহজ চেকআউট অভিজ্ঞতা পায়।
যেহেতু আমাদের সকল পণ্য-সেবাগুলো ডিজিটালি সরবরাহ করা হয়, তাই তা বিতরণে শিপিং ঠিকানা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই।
আপনি যদি ফিজিক্যাল পণ্য বিক্রয় করে থাকেন সেক্ষেত্রেও প্রয়োজন নেই এমন ফিল্ডগুলোকে বাদ দেয়ার মাধ্যমে চেকআউট পৃষ্ঠাটির UX আরও উন্নত করতে পারেন।
উকমার্স শপিং কার্ট সফটওয়্যারে বিষয়টি সহজেই করা সম্ভব। বিস্তারিত শিখতে আমাদের ফ্রি উকমার্স প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে।
বিনামূল্যে প্রাথমিক ইকমার্স প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে ইনরোল করুন।
৯। ৭৬% শতাংশ ভোক্তা পুনোরায় ক্রয়ে আগ্রহী হয় যদি পণ্য ফেরত প্রক্রিয়া সহজ থাকে
ইকমার্সের অন্যতম একটি নেতিবাচক দিক হল সরাসরি পণ্য হাতে নিয়ে যাচাই করার সুবিধা না থাকা। ফলে বিশেষ ধরণের কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে ফেরত প্রদান ও গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে।
বিতরণ সংস্থা নার্ভারের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে,
যেসকল ষ্টোর সহজে পণ্য ফেরতের প্রক্রিয়া প্রদান করে, সেসকল স্টোর থেকে ভোক্তারা বার বার ক্রয়ে বেশী আগ্রহী হয়, তাদের মধ্যে একটি নিশ্চয়তা কাজ করে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৭৪% শতাংশ ভোক্তা ফ্রি শিপিং উপলব্ধ না থাকলে ক্রয়ে আগ্রহী হয় না। ৬৩% শতাংশ ভোক্তা অন্য স্টোরে চলে যায় যদি ফেরত নীতিমালা সুস্পষ্টভাবে ওয়েবসাইটে উল্লেখ্য না থাকে।
তাই ফ্রিতে পণ্য বিতরণ ও তার নীতিমালা সুস্পষ্ট রাখার মাধ্যমে গ্রাহক রূপান্তর হার অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
১০। মন্দ গ্রাহকসেবার কারণে ৮০% ভোক্তা পুনোরায় ক্রয়ে বিরত থাকে
বিশ্বাস অর্জন করা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ, কিন্তু তা হারানো অত্যন্ত সহজ।
একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় যেসকল প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র বিক্রয়ের চেষ্টা করে,
কিন্তু ভোক্তাদের যথাযথ বিক্রয় পরবর্তী গ্রাহকসেবা প্রদান করে না, তাদের থেকে পরবর্তীতে সেই ভোক্তা পুনোরায় ক্রয়ে উৎসাহী হয় না।
কেননা ভোক্তা কোনো পণ্য বা সেবা গ্রহণের সময় বিক্রয় পরবর্তী সহায়তা কামনা করে।
তাই যেকোনো বাণিজ্যিক উদ্যোগে বিক্রয় পরবর্তী গ্রাহকসেবাকে গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিত।
যদি আপনার গ্রাহকরা পুনোরায় ক্রয়ে ফিরে না আশে তাহলে আপনার পক্ষে বাণিজ্যটির টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না, সর্বদা নতুন গ্রাহকদের পেছনে ছুটতে হবে।
অনলাইন স্টোরের ক্ষেত্রে গ্রাহকসেবা সফটওয়্যারের মাধ্যমে সহজেই বিক্রয় পরবর্তী গ্রাহকসেবা ডিজিটালি প্রদান করা যায়।
১১। দ্রুতগতি সম্পন্ন অনলাইন স্টোরে গ্রাহক রূপান্তরের হার সর্বাপেক্ষা বেশী
ধীরগতির ওয়েবসাইট ভিসিট করা যে কতটা বিরক্তিকর তা নতুন করে বলার কিছু নেই।
পোর্টেন্টের সূত্রমতে, যেসকল ওয়েবসাইট ০-৪ সেকেন্ডের মধ্যে লোড হয় সেসকল ষ্টোরের গ্রাহক রূপান্তর হার ৩১.৭৯% – ১২.৭৬% শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ ভোক্তা ভিসিট করলে ৩১-১৩ জন ক্রয় করে।
বিশেষ করে স্টোরের প্রচ্ছেদ পৃষ্ঠা, পণ্য বিস্তারিত পৃষ্ঠা ও চেকআউট প্রক্রিয়ায় গতি বৃদ্ধিতে গুরুত্ব আরোপের বিষয়টি উল্লেখ্য করা হয়। কারণ অনলাইন ষ্টোরের এসকল পৃষ্ঠাসমূহে ভোক্তারা সর্বাধিক ভিসিট করে থাকে।
ওয়েবসাইটের গতি নির্ভর করে হোস্টিং সার্ভারের মানের উপর। যেমন আমাদের GrowBig ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধিতে ভিপিএস সার্ভার ও স্টেকপাথ সিডিএনের ব্যবহার হচ্ছে।
সিডিএন হল কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক। যার ব্যবহারে ওয়েবসাইটের গতি কয়েকগুন বৃদ্ধি করা যায়।
স্টেকপাথের বিশ্বব্যাপী কয়েকশত সার্ভার রয়েছে। সিডিএন সংযুক্ত করলে সেই প্রতিটি সার্ভারে ওয়েবসাইটের হুবহু প্রতিলিপি (কপি) তৈরি হয়। ভিসিটর যখন সাইট ভিসিট করে তখন তার সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো লোড হয়।
যেমনঃ ২ জন ভিসিটর একই সাথে সাইটে ভিসিট করছে, একজনের অবস্থান বাংলাদেশ ও অন্যজনের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের ভিসিটরের জন্য বাংলাদেশের নিকটবর্তী সার্ভার ও যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভার থেকে কন্টেন্টগুলো লোড হবে।
একইভাবে, একই সাথে ১০জন ভিসিট করলে ১০ জনের জন্য তাদের নিকটবর্তী ভিন্ন ভিন্ন সার্ভার থেকে সাইটটি লোড হবে। ফলে একটি সার্ভারের উপর চাপ সৃষ্টি না হয়ে সেটি একাধিক মিরর (আয়নার মত) সার্ভারে চাপ সৃষ্টি হয়। যার কারণে ওয়েবসাইটের গতি অত্যন্ত বেঁড়ে যায়।
যার মাসিক ব্যয়ঃ
ভিপিএস সার্ভারঃ ৳৬,৬২৫
সিডিএনঃ ৳৯০০
১২। স্বল্প বয়সী ভোক্তারা বয়স্ক ভোক্তাদের তুলনায় অনলাইন শপিং এ বেশী সময় ব্যয় করে থাকে।
ইউরোষ্টেটের জরিপে দেখা যায় স্বল্প ও মধ্যবয়সী ভোক্তাদের মাঝে অনলাইন শপিং সর্বাধিক জনপ্রিয়। নিম্নের চিত্রে বিগত ১০ বছরের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
১৩। কভিড-১৯ এর ফলে অনলাইন ষ্টোরগুলোতে অতিরিক্ত ২২ বিলিয়ন ভিসিট হয়েছে
কভিড-১৯ এর ফলে ভোক্তারা এক রকম অনলাইন স্টোরগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল।
লকডাউনে প্রায় সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় অনলাইনে সক্রিয় ছিল।
জরিপে দেখা গিয়েছে, জানুয়ারি ২০১৯ থেকে জুন ২০২০ এর মাঝে অনলাইন স্টোর গুলোতে সাধারণের থেকে অতিরিক্ত ২২ বিলিয়ন ভিসিট হয়েছে।
এছাড়াও সফটওয়্যার অ্যাডভাইসের সূত্রমতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৫% শতাংশ খুচরো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসাকে অনলাইনে স্থানান্তর করেছে।
কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে কভিড-১৯ এর ফলে বিক্রয় হার কয়েকশতগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন ভাইরাস দমন সংশ্লিষ্ট পণ্যসামগ্রী। এছাড়াও অনলাইনে গ্রসারি বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও বড় ধরণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
যেসকল উদ্যোক্তা অনলাইনে বিক্রয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিল তারা ঠিকই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পেরেছে।
এমনকি কভিড-১৯ লকডাউন সময়কালে হোম ডেলিভারি আরও দ্রুতগতিতে প্রদান করা সম্ভব হয়েছিল যানবাহন বন্ধের কারণে।
ফলে যেখানে সাধারণ অনলাইফ স্টোরগুলোর বিক্রয় পরিমাণ প্রায় শূন্যে নেমে গিয়েছিল, সেখানে ইকমার্স উদ্যোক্তাদের রোজগার কয়েকগুলো বেঁড়ে গিয়েছিল।
যা থেকে অনেক বড় একটি শিক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে।
কখনো সঠিক সময়ের অপেক্ষায় সময় অপচয় করতে নেই, সবসময় প্রস্তুত থেকে সমস্যাকে সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত।
১৪। ইকমার্স শিল্পে সর্বাধিক জনপ্রিয় ক্যাটাগরির শীর্ষে ফ্যাশন
২০১৮ সালে প্রকাশিত নিলসনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্যাশন ক্যাটাগরিটি ইকমার্স শিল্পে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ইকমার্স প্রক্রিয়ায় বিক্রিত সমস্ত ক্যাটাগরির মধ্যে ফ্যাশন ক্যাটাগরির অংশ ৬১% শতাংশ।
বিশ্বব্যাপী ৫৭% শতাংশ ডিজিটাল ভোক্তা ফ্যাশন ক্যাটাগরির কোনো না কোনো পণ্য ক্রয় করেছেন, যা এই ক্যাটাগরিকে সর্বাধিক জনপ্রিয়তার খেতাব এনে দিয়েছে।
১৫। বি২বি ইকমার্সের উন্নয়ন হার বি২সি এর তুলনায় অধিক
ডিজিটাল কমার্স ৩৬০ এর জরিপ মতে ইকমার্স প্রক্রিয়ায় বি২বি বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮% শতাংশে।
যা বি২সির থেকে ৩% শতাংশ বেশী ছিল।
ঊর্ধ্বগতিটি ঘটেছে সকল ডিজিটাল বিক্রয় মাধ্যমের সমন্বয়ে,
যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্যক্তিগত ইকমার্স ওয়েবসাইট, অ্যামাজান/আলিবাবা মার্কেটপ্লেসসহ অন্যান্য দেশ ভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
বি২বিঃ
বি২বি প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো একে অন্যের সাথে ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। যেমন পাইকার ও খুচরো বিক্রেতারা নিজেদের মধ্যে যখন ক্রয়-বিক্রয় করেন তখন সেই বাণিজ্যিক লেনদেনকে বি২বি বলা হয়। কারণ লেনদেনটি বিজনেস টু বিজনেস হচ্ছে।
বি২সিঃ
বি২সি প্রক্রিয়ায় খুচরো বিক্রেতারা সরাসরি প্রান্তিক গ্রাহকদের কাছে বিক্রয় করে থাকেন, যারা কোনো প্রতিষ্ঠান নয়।
১৬। অনলাইন শপিং ইন্টারনেটে অন্যান্য সকল ক্রিয়াকলাপের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয়
গুগলের সূত্রমতে প্রতি ২ জন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ১ জনের ফোনে শপিং অ্যাপ ইন্সটল রয়েছে এবং সপ্তাহে ন্যূনতম একবার হলেও ব্যবহার করে থাকে।
২০১৮ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন অনলাইনে মাথাপিছু গড়ে ৩৯ মিনিট ব্যয় করেছে, যা ২০২১ সাল নাগাদ বেঁড়ে ১৫৫ মিনিটে দাঁড়াবে বলে সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থাগুলো ধারণা করছে।
উল্লেখিত এই সময়ের মধ্যে ভোক্তারা অনেকটা সময় অতিবাহিত করে থাকে পণ্য নিয়ে গবেষণা, সঠিক পণ্যের সন্ধান, ক্রয় সম্পন্ন করাসহ শপিং সংশ্লিষ্ট নানা কাজে।
যার ফলে অনলাইনের সমস্ত ক্রিয়াকলাপের মধ্যে শপিং অন্যতম জনপ্রিয়।
১৭। বিক্রয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে চীন সর্ববৃহৎ ইকমার্স বাজার
প্রতিবছর ইকমার্স শিল্প থেকে চীনের ৬৭২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন হয়ে থাকে। চীনের সকল খুচরো বিক্রয়ের প্রায় ১৫.৯% শতাংশই আশে ইকমার্স শিল্প থেকে।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পর্যায়ক্রমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
১৮। শিপিং খরচ ক্রয় সিদ্ধান্তে ভোক্তাদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
এ বিষয়ে ক্লাচ ৫০০ ডিজিটাল ভোক্তাদের উপর একটি জরিপ চালায়।
যেখানে দেখা যায়, অতিরিক্ত হিসেবে শিপিং খরচ যুক্ত করলে ভোক্তাদের মাঝে দ্বিধা সৃষ্টি হয়।
যেমন উদাহরণ হিসেবে, ভোক্তা ৳১০০০ টাকার একটি পণ্য নির্বাচনের পর ৳১০০০ টাকাই পরিশোধের প্রত্যাশা করে।
কিন্তু চেকআউট করার সময় যখন দেখতে পায় শিপিং খরচ হিসেবে অতিরিক্ত ১০০ টাকা যুক্ত হচ্ছে তখন সেটি তাৎক্ষনিকভাবে তার ক্রয় সিদ্ধান্তে বাঁধা সৃষ্টি করে।
জরিপে ৪৩% শতাংশ ভোক্তা বলেছেন অতিরিক্ত শিপিং খরচ থাকলেও তারা ক্রয় করেন।
আর ৭৭% শতাংশ ভোক্তা বলেছেন ফ্রি শিপিং থাকলে ক্রয়ে বেশী আগ্রহী হন।
যা থেকে বোঝা যায় শিপিং খরচে ক্ষুদ্র পরিবর্তন আনার ফলে বিক্রয়ের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এজন্যই অনেক অনলাইন স্টোর বর্তমানে পণ্যের মূল্যের সাথেই শিপিং খরচ সংযুক্ত করে নেয়।
ফলে ভোক্তা পণ্যে যে মূল্য দেখতে পায়, সেই মূল্যেই চেকআউট করতে পারে।
এতে ভোক্তার মধ্যে চেকআউট করার সময় কোন দ্বিধা সৃষ্টি হয় না।
১৯। ২৮.৭ শতাংশ ডিজিটাল ভোক্তা অর্গানিক সার্চের মাধ্যমে ইকমার্স স্টোর ভিসিট করে থাকে।
সিমিলারওয়েবের পরিসংখ্যান মতে, ইকমার্স ষ্টোরে ভোক্তারা সরাসরি ভিসিটের পাশাপাশি পরবর্তী দ্বিতীয় মুখ্য মাধ্যম হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার দ্বারা ভিসিট করে থাকে।
সংখ্যাটি পেইড সার্চ বিজ্ঞাপনের তুলনায় অধিক, পেইড সার্চ বিজ্ঞাপনের ক্লিক হার ৪.৩% শতাংশ।
ফলে ইকমার্স ষ্টোরে অর্গানিকভাবে ভোক্তা পেতে এসইও একটি সাশ্রয়ী প্রচার মাধ্যম হতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে গুগল ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে, যার বাজার শেয়ার প্রায় ৯২.০৫% শতাংশ।
অর্থাৎ কোনো বিষয় সন্ধানে প্রতি ১০ জনে ৯ জনই গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে।
তাই গুগলের পরামর্শ অনুযায়ী অনলাইন স্টোরটি এসও বান্ধব করা হলে গুগল সার্চ থেকে বিনামূল্যেই নতুন নতুন ভোক্তা পাওয়া সম্ভব।
ইয়োস্ট এসইও প্লাগিনটির সহায়তায় কিভাবে একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব করা যেতে পারে সে বিষয়টি শিখতে ভিডিও নির্দেশিকাটি দেখুন।
২০। উকমার্স বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ইকমার্স শপিং কার্ট সফটওয়্যার
সমগ্র বিশ্বের শীর্ষ ১০ লক্ষ ইকমার্স ওয়েবসাইটের উপর চালিত বিল্টউইথের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, শপিং কার্ট সফটওয়্যার হিসেবে উকমার্স শীর্ষে রয়েছে।
পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শপিফাই (১৮%), তৃতীয় অবস্থানে মেজেন্টো (৯%) এবং অন্যান্য সকল সফটওয়্যার মিলে ৪২%।
স্টেটিস্টার পরিসংখ্যানেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালে শীর্ষ ১০টি শপিং কার্ট সফটওয়্যারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮.২৪% শতাংশে উকমার্স ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
উকমার্স প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করুন।
২১। ৫৫% শতাংশ ডিজিটাল ভোক্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা ক্রয় করেছে
ডিজিটাল ভোক্তাদের প্রায় ৫৫% শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা একবার হলেও দ্রব্য ক্রয় করেছেন (যেমন ফেইসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম)।
উল্লেখিত মাধ্যমগুলো ভোক্তাদের সংস্পর্শে আসতে সহায়তা করে। আর ওয়েবসাইট দ্বারা দ্রব্য, অর্ডার, গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে একই স্থান থেকে ব্যবস্থাপনা করা যায়।
তাই প্রায় সকল অনলাইন ব্র্যান্ড সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহারের পাশাপাশি,
বাণিজ্যের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো সহজেই পরিচালনায় নিজস্ব অনলাইন স্টোর ব্যবহার করে থাকে।
বাণিজ্যের প্রসারে ফেইসবুকের বিপণন পন্থাগুলো শিখতে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে।
সারসংক্ষেপঃ
উল্লেখিত পরিসংখ্যানগুলো পর্যালোচনা করলে সহজেই অনুমান করা যায়, ইকমার্স হল বর্তমান ও ভবিষ্যতের আধুনিক বাণিজ্য পরিচালনার মাধ্যম।
ইকমার্সের উন্নয়ন ধারা নিম্নমুখী হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না, বরং দিন দিন এর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা আরও বাড়ছে।
যদিও আমাদের দেশের বাণিজ্যিক শিল্পে ইকমার্সের ব্যবহার শুরু হয়েছে মাত্র কয়েক বছর হল।
তবে বিশ্ব বাজারগুলো পর্যালোচনা করলে সহজেই অনুমান করা যায়, ভবিষ্যতে এর পরিধি আমাদের দেশেও উল্লেখ্যযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।